• বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
মেহেরপুর সফরে লেখক: সাংবাদিক মুহাম্মদ রবীউল আলম সাহেরা খাতুন ফাউন্ডেশন ও হাজ্বী নায়েব আলী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কর্তৃক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  কুষ্টিয়ায় ফিলিস্তিনের গণহত্যার প্রতিবাদে স্মরণকালের বৃহত্তম বিক্ষোভ; ৪ দফা কর্মসূচি ঘোষণা ধর্ষণের শিকার শিশুর বসতঘর পুড়িয়ে দিলো ধর্ষকের ছেলে অপেক্ষার অবসান ঘটে চালু হলো কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রমজানজুড়ে পয়ামে ইনসানিয়াতের তিনটি অনলাইন দাওয়াহ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত এবছরও কুষ্টিয়ায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত আগামী প্রজন্মকে মেধা মননে আলোকিত করতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে মাগুরার ধলহরায় বায়তুল হিকমাহ পাঠাগার উদ্ভোদন

কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক ইউনিয়নের ইফতার মাহফিলে কাদের গনি চৌধুরী: সাংবাদিকদের সত্য উদ্ঘাটন ও প্রকাশে নির্ভীক হতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ৩৭ Time View
Update : রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫

আজাদীর কন্ঠ ডেস্ক:
বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, সাংবাদিকদের সত্য উদ্ঘাটন, অনুসন্ধান ও প্রকাশে নির্ভীক হতে হবে। অর্ধ সত্য নয়, সত্য ও অসত্যের মিশ্রণও নয়,  তাদের প্রকাশ করতে হবে অখণ্ড ও পূর্ণ সত্য।
সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের চাকরির ঝুঁকি, জীবনের ঝুঁকিসহ নানা ঝুঁকি নিতে হয়। সাংবাদিকরা এই ঝুঁকি না নিলে সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে কীভাবে? অসহায় আত্নসমর্পণ সাংবাদিকদের মানায় না। বিগত সরকারের সময় আমাদের সাংবাদিকদের বিরাট অংশকে আমরা অসহায় আত্মসমর্পণ করতে দেখেছি সেল্ফ সেন্সর শিপের মাধ্যমে।মনে রাখবেন সত্য প্রকাশে বাধা ও বিপদের সম্মুখীন হলেও সমাজের সাধারণ মানুষ সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়ায়।রবিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব বলেন।কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন, কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আহাম্মদ আলী,জেলা সেক্রেটারি জিএম তাওহীদ আনোয়ার, জামায়াত জেলা সেক্রেটারি সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার, বিএফইউজের দফতর সম্পাদক আবু বকর,পিপি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও এড. সাতিল মাহমুদ প্রমুখ ও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামীম উল হাসান অপু।সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, জীবনে কোনো ক্ষেত্রে মিথ্যার সঙ্গে আপস করা চলবে না।তাহলে সাংবাদিকতা হবে না। সত্যের তরে দৈত্যের সাথে লড়াই করাই সাংবাদিকতা।সত্য প্রকাশই হতে হবে গণমাধ্যমের একমাত্র অঙ্গীকার।কাদের গনি চৌধুরী বলেন,সাংবাদিকতা হচ্ছে সবচেয়ে জীবন্তু ও আধুনিক পেশা। বুদ্ধিবৃত্তিক পেশা, সাংবাদিকতা কখনই মূর্খজনের পেশা নয়, পেশা হিসেবেই সাংবাদিকতা বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের পেশা। যে মানুষ অতীতকে ধারণ করে বর্তমানের সঙ্গে তা মিলিয়ে ভবিষ্যতের নির্দেশনা দিতে না পারেন, ভাষায়-ব্যাখ্যায়-উপস্থাপনায় যিনি মেধার ছোঁয়া না বুলাতে পারেন,তিনি আর যা-ই হোন সাংবাদিক হতে পারেন না। কিছু মৌলিক কাঠামোই সাংবাদিকতাকে আধুনিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পেশার শক্ত ভিত্তি দিয়েছে। সাংবাদিকতাকে দাঁড়াতে হয় এই মৌলিক ভিত্তির উপর।।একটি সমাজে মত প্রকাশের স্বাধীনতাটি যদি নিশ্চিত না থাকে, সমাজটি যদি চিন্তা ওবিবেকের জন্য খোলা প্রান্তর অবারিত করতে না পারে, সেই সমাজে স্বাধীন বা মুক্ত সাংবাদিকতা বিকশিত হতে পারে না। সাহসী ও  বুদ্ধিবৃত্তিক সাংবাদিকতার ভিতও দৃঢ় হয় না। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বলতে আমরা বুঝব যে, একটি মাধ্যম তার বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে, উপস্থাপনার ক্ষেত্রে এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্র, লিখার বা বলার ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা কার্যকর করতে পারছে কিনা। সাংবাদিকদের এনেতা বলেন, আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলি কিন্তু নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতার কথা বলি না।আজকাল প্রায়শই সংবাদ মাধ্যম বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বশীলতা ও নৈতিকতার বিষয়টি উচ্চারিত হয় জোরেসোরে।
সংবাদ মাধ্যমের প্রথাগত দায়িত্বটি মানুষকে তথ্য জানানো, সেই তথ্য জানানোর মধ্য দিয়েই মানুষকে শিক্ষিত ও সচেতন করে তোলা,তথ্য এবং আলোচনার মাধ্যমে বিনোদন দেয়া এবং সময়ের প্রয়োজনে মানুষকে উদ্দীপ্ত করে তোলা। তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে আপনারা জানেন। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন যখন
চূড়ান্ত রূপ নিচ্ছে, সে সময়কার পূর্বপাকিস্তানের এক দল সম্পাদক গিয়েছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে। মানিক মিয়া স্মৃতিচারণ করছেন, সে সময় পশ্চিম পাকিস্তানে তাদের বন্ধু সাংবাদিক মি. সুলেরী বলছেন : মানিক মিয়া তোমরা পূর্বপাকিস্তানের সংবাদপত্রে এখন সাংবাদিকতার
চাইতে রাজনীতিটাই বেশি করছ। মানিক মিয়া হেসে জবাব দিয়েছিলেন: সুলেরী, পূর্ববঙ্গে এখনকার যা পরিস্থিতি, যে জনআকাক্সক্ষা আমরা তার সাথে মিলিয়েই সাংবাদিকতা করছি। সেই জনআকাঙ্খার অনেক দূরে পশ্চিমে বসে তোমরা যা করতে পার আমরা তা পরি না। সাংবাদিকতা যেহেতু জনমানুষের আশ্রয়েই বেঁচে থাকে কাজেই পেশাদারিত্ব বজায় রেখেই নতুন দায়িত্বও মাথায় নিতে হয়।
দায়িত্বশীলতা প্রকৃতপক্ষে সাংবাদিকতার সাথে এমনভাবে ঘনিষ্ঠ যে,সেজন্য পৃথক কোন সংজ্ঞার প্রয়োজন হয় না। কারণ সাংবাদিকতা পেশাটিই দায়িত্বশীল পেশা। প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকতা কখনও ‘অ-দায়িত্বশীল’ হতে পারে না। যারা দায়িত্বহীন ভাবে সাংবাদিকতা পেশাকে ব্যবহার করেন, তারা আর যাই হোক ‘সাংবাদিক’ নন। আরেকটি বিষয়ে না বললেই নয়, গণমাধ্যম বা সাংবাদিক কার প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে, কার কাছে জবাবদিহি করবে? এই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সরকার চায় জবাবদিহিতা থাকুক তার কাছে, মালিক চায় তার কাছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সংবাদ মাধ্যমের দায়বদ্ধতা সমাজের প্রতি। সমাজের পাঠক বা দর্শকই তো তার ভোক্তা। তারাই মূল্যায়ন করবেন। ভালো লাগলে গ্রহণ করবেন, না হলে প্রত্যাখ্যান করবেন। সেই গণমাধ্যমই টিকে থাকবে, যেটি মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবে। আস্থা অর্জন করা সম্ভব হবে যদি সংবাদমাধ্যমটি নৈতিকতার দিক থেকে পরিশীলিত হয়, পেশাদারিত্বের দিক থেকে পরিশীলিত হয়, সত্যপ্রকাশে সাহসী- আপসহীন হয়। আবার রাষ্ট্রের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতির গণমাধ্যমের দায়বোধ থাকা জরুরি। মনে রাখতে হবে, কোন স্বাধীনতাই নিরঙ্কুশ নয়। মত
প্রকাশের স্বাধীনতা আর বিদ্বেষ ছড়ানো সমার্থক নয়। কোন তথ্য যাচাই না করে তার ওপর ভিত্তি করে যুদ্ধ ঘোষণা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়। সমাজে ন্যায্যতার পক্ষে গণমাধ্যমকে থাকতে হবে। তবে সমাজকে শিক্ষিত করে তোলাও গণমাধ্যমের দায়িত্ব। শিক্ষিত সমাজই বুঝবে গণমাধ্যমের কাছে কতটা প্রত্যাশা করা সঙ্গত। তাইবলা হয়, শিক্ষিত সমাজে সাংবাদিকরা বেশি নিরাপদ। মনে রাখবেন,সততা ছাড়া কোন গণমাধ্যম বহু মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারে না। বৈশ্বিকভাবেই এখন সংবাদ মাধ্যমের বড় সংকট ‘ফেক নিউজ’। ফেক নিউজ বা অসত্য


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category