আজাদীর কন্ঠ ডেস্ক: স্মরণকালের গণসমাবেশ ‘মার্চ ফর গাজা’র রিপোর্ট পরিবেশন করে নেটদুনিয়ায় প্রশংসা কুড়াচ্ছেন সময় টিভির আলেম সাংবাদিক মুফতি আব্দুল্লাহ তামিম।শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময় টিভির লাইভে ময়দান থেকে রিপোর্ট পরিবেশন করেন তামিম। এ সময় তিনি কর্মসূচিটির মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরে দক্ষতা ও মুনশিয়ানার পরিচয় দেন। গণজমায়েত শেষ হতেই তামিমের রিপোর্টিংয়ের কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। ছবিগুলো ভাইরাল হতেই বেশ প্রশংসিত হন তিনি। নেটিজেনরা বলেন, আলেম সাংবাদিকের এই মুনশিয়ানা সংবাদ জগতে নতুন বার্তা দিল। বিশ্বায়নের পৃথিবীতে আলেমরা কোনো কালেই যে পিছিয়ে নেই, তা বরাবরই প্রমাণিত।তামিমের প্রশংসা করে এক সিনিয়র সাংবাদিক তার টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘সম্ভবত বাংলাদেশের টেলিভিশন সাংবাদিকতার ইতিহাসে মূলধারার কোনো গণমাধ্যমে এই প্রথম হাটহাজারী থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) পাস, আরবি ভাষা ও সাহিত্য এবং ইসলামী শরীয়াহ-এ উচ্চতর ডিগ্রীধারী (ইফতা), কওমি লেবাসপরিহিত কাউকে এ ধরণের একটি ইভেন্টে পুরোদস্তুর লাইভ রিপোর্টিংয়ে দেখা গেল।’তিনি লিখেছেন, ‘২৮ বছর বয়সী তামিম আজ যা করেছেন, সেটা ইতিহাস। সময় টিভি তাকে মূলধারার রিপোটিংয়ে যুক্ত করে আজ যা করল, সেটাও ইতিহাস।’‘দেশের সবচেয়ে অবহেলিত শিক্ষিত জনগোষ্ঠী হলো কওমী আলেমরা’ উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেছেন, অভিনন্দন টিম সময়, অভিনন্দন তামিম। বৈষম্যহীনতা শুধু কাগুজে না হোক, এভাবেই বৈষম্যহীনতা ছড়িয়ে পড়ক পুরো সমাজে, সবক্ষেত্রে, সব পেশায়। কারো পোশাক বা অবয়ব যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের জন্য বাধা না হোক।’ভাইরাল ছবির মন্তব্যঘরে শাকিল নামের একজন লিখেছেন, ‘তামিম ভাই, দুর্দান্ত হয়েছে। আমি আপনার ভক্ত অনুরাগী। ভালোবাসা রইল আপনার প্রতি।’অন্য আরেকজন লিখেছেন, ‘দাড়ি-টুপি পরেও সাংবাদিকতা করা যায়। এতে স্মার্টনেস নষ্ট হয় না। বাংলাদেশে ইতিহাস, চলমান থাকুক এই সংস্কৃতি। ভালোবাসা আপনার জন্য ভাইয়া।’এ প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ তামিম পূর্ব সিলেটকে বলেন, ‘মিডিয়ায় কাজ করা এটা শুধু আমার শখই নয়, বরং ঈমানি দায়িত্ব মনে করি। ২০১৫ সাল থেকে আমি সাংবাদিকতায় আছি। সময় টিভিতে দুই বছর হয়ে গেল আলহামদুলিল্লাহ। গতবছর হজ কভারেজের জন্য সৌদি আরবে গিয়েছিলাম। পবিত্র হজ আদায় করার সুযোগ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ!’তিনি বলেন, ‘আসলে মিডিয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ কণ্ঠস্বর। কোটি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। এই জায়গাটা থেকে সত্যের কথা কথা, ইসলামের দাওয়াত মানুষের দরবারে পৌঁছে দেওয়াই আমার লক্ষ্য। আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে সে সুযোগ দিয়েছেন।’তিনি আরও বলেন, ‘আর নেট দুনিয়ায় যে আলোচনা, এটা চলতেই থাকবে। এটাও জীবনের একটা অংশ। অবশ্যই যারা মন্তব্য করেছেন, পজেটিভলি বিষয়টা দেখছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে পৃথিবীর মানুষের কাছে দোয়া চাই, ইসলামের কণ্ঠস্বর হয়ে যেন আমরণ কাজ করতে পারি।’